বৃটিশ শাসনামল হতেই এই ইউনিয়নের প্রখ্যাত ব্যক্তিগনের আনাগোনা চোখে পড়ারমত। বৃটিশ বিরোধি আন্দোলনে অনেকের অবদান আছে। পরবর্তীতে পাকিস্তান বিরোধি আন্দোলনে ভালুকা উপজেলার সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন এই ইউনিয়নের কতিপয় বিশিষ্ট জন। তাদের মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ছিলেন জনাব মরহুর লেবু উদ্দিন সরকার। তিনি সম্ভ্রান্ত মুসলিমি পরিবারে তাহার জন্ম। পিতা মরহুম ছমির উদ্দিন সরকার, মাতা মোছা: ফাতেমা খাতুন। গ্রাম: জামিরাপাড়া, ডাকঘর: জামিরাপাড়া, উপজেলা: ভালুকা, জেলা: ময়মনসিংহ।
তাহার পিতা ছিলেন তৎকালীন জমিদার। পিতার অবর্তমানে উনার উপর সকল দায়-দায়িত্ব পরায় তিনি তেমন লেখা পড়া করে উঠতে পারেন নি। তার সমাজ সেবা বিমুগ্ধ ছিলেন তদানিন্তন গফরগাঁও থানধীন ভালুকার জনসাধারণ। তিনি তৎকালীন পাকিস্তান শাসন আমলে ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন।
পড়া-লেখা কম থাকলেও তাঁর বিচার বুদ্ধি ছিল অত্যন্ত ভাল। নিজে লেখা পড়ার সুযোগ না পেলেও তিনি পরবর্তীতে লেখা পড়া করার জন্য প্রয়োজণীয় স্কুল ও কলেজ স্থাপন করেছেন। বর্তমানে রাজৈ ইউনিয়নের একমাত্র স্বনির্ভর উচ্চ বিদ্যালয় জামিরাপাড়া এস এম উচ্চ বিদ্যালয় ও জামিরাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় উনার দানকৃত জমির উপর নির্মিত। তাছাড়া পরবর্তীতে স্থাপিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রায় সবকয়টি-ই তিনি নিজের ঐকান্তি প্রচেষ্টায় নির্মিত।
তাছাড়া বর্তমানে গফরগাঁও উপজেলাধীন পাগলা থানার অন্তর্ভুক্ত গয়েশপুর কলেজের দাতা সদস্য ছিলেন তিনি। তিনি ছেলে মেয়েদের লেখা-পড়া করার জন্য জীবনের প্রায় বেশির ভাগ সময় লাগিয়েছেন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা-মসজিদ স্থাপনের কাজে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS